Friday, October 14, 2022

যুক্ত্ররাস্ট্রে নাগরিকত্ব – বুস্টার ডোজ!

বিগত ১ দশকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপাকভারে বাড়ছে। পৃথিবীর যেকোনো দেশে পড়তে যাওয়ার জন্য সে দেশে স্থায়ী হবার পদ্ধতি এবং সময়সীমা জেনে রাখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এতে সময়, চিন্তা, অর্থ সবকিছুই বাঁচে এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার অত্যন্ত সহজ হয়। দেশ থেকে আসার আগে আমরা এই ব্যাপারে খুব বেশি কিছু জানিনা বা জানার আগ্রহ প্রকাশ করি না। অন্যভাবে বললে, এসব জানার তেমন কোনো অথেনটিক সোর্স ও নাই। কিছু বাটপার এজেন্সি খুলে বিভিন্ন ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে যার খপ্পরে পড়ছেন অনেকেই। আজকে সে বিষয়ে সংক্ষেপে কিছু লিখছি।



বলাবাহুল্য যে আমেরিকায় স্থায়ী নাগরিক হবার জন্য ডিভি লটারী ছিল সবথেকে জনপ্রিয় এবং সহজ পদ্ধতি। সম্ভবত ২০১০ সালের দিকে বাংলাদেশের জন্য ডিভি লটারীর কোটা পুরণ হয়ে যায় এবং আবেদন করার সুযোগও চিরতরে বন্ধ হয়ে যায়। দ্বিতীয় সহজ কিন্তু সময়সাপেক্ষ পদ্ধতি হচ্ছে নিকট আত্মীয়দের মাধ্যমে আবেদন করে নাগরিকত্ব লাভ করা। এছাড়াও, স্থায়ী নাগরিক হবার আরও পঞ্চাশ অধিক ক্যাটেগরি আছে যেগুলোর অধিকাংশতেই তেমন ব্যাক্তিগত এবং বুদ্ধিভিত্তিক যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হয়না। এর কিছু ব্যাতিক্রম আছে যেমন ইনভেস্টর হিসেবে আবেদন করা যায় (৫ কোটি টাকা আমেরিকায় নিয়ে এসে ব্যাবসায় ব্যয় করতে হয়); সংস্কৃতিতে অবদানের জন্যও আবেদন করা যায়, ইত্যাদি। যারা এসব ক্যাটেগরির কোনোটাতেই নাগরিক হয়ে আসতে পারেনা, তাদের বলা হয় নন-ইমিগ্র্যান্ট। এই দলের সবথেকে বড় অংশ হচ্ছে যারা স্টুডেন্ট ভিসায় এখানে পড়তে আসে। এখানে পড়াশোনা করতে এসে হাজারো কঠিন এবং অনিশ্চিত পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে তাদের নাগরিক হতে ৬-১২ বছর লেগে যায়। এটা যে কেমন অভিজ্ঞতা সেটা যে উপভোগ করেনি সে অনুভব করতে পারবে না। এটা খুব খারাপ যে তা না কিন্তু বেশ হতাশার এবং একই সাথে উত্তেজনাকর। অনেকটা ফুটবলের ৯০ মিনিটের পড়ের সময়ের মত।

যুক্তরাস্ট্রে স্টুডেন্ট ভিসায় নিজের ভার্সিটির বাহিরে কোনো চাকরি করার সুযোগ নাই। আপনাকে কেউ চাকরি দিতেও পারবে না কারণ আপনার ওয়ার্ক পারমিট নাই। নিজের ক্যাম্পাসে সপ্তাহে ২০ ঘন্টা চাকরি করতে পারবেন। পড়াশোনা শেষ করলে এদেশের সরকার আপনাকে ১ থেকে ৩ বছরের ওয়ার্ক পারমিট দেয়। এটাকে বলা হয় OPT (Optional Practical Training)। যারা বিজ্ঞান, প্রকৌশল, গণিত এবং টেকনোলজি ব্যাগ্রাউন্ডের তাদেরকে বলা হয় STEM OPT এবং তাদের জন্য এটা ৩ বছরের। বাকি সবাইকে বলা হয় Non STEM OPT এবং তাদের পারমিট ১ বছরের। সেই ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে আপনি শুধুমাত্র যে বিষয়ে ডিগ্রী নিয়েছেন সেই ধরণের চাকরিই করতে পারবেন, এর বাইরে আর কিছু করার সুযোগ নাই। আপানার ওয়ার্ক পারমিট ১ থেকে ৩ বছর বৈধ থাকতে থাকতে আপনাকে অন্য ভিসা নিতে হবে। প্রফেশনাল চাকরি যারা করে তাদের জন্য জনপ্রিয় ভিসা হচ্ছে H-1B, যেটা কোম্পানি স্পন্সর করে থাকে। এটা আর একটা চ্যালেঞ্জ। এই ভিসা স্পন্সর করবে এমন কোম্পানী ম্যানেজ করতে হয়, সবাই এটা করে না। এটা অনেকটা কঠিন ভিসা কারণ এতে দেশে যাওয়া আসা করতে গেলে প্রতিবার ঢাকার এম্বাসিতে গিয়ে ভাইভা দিতে হয়, নতুন ভিসার সিল নিতে হয়, নিজের বউ বাচ্চা চাকরি করার সুযোগ পায়না। H-1B ভিসার মেয়াদ ৬ বছর এবং অধিকাংশ কোম্পানী চায় আপনি অন্তত এই ৬ বছরের ৩ বছর তাদের সাথে কাজ করেন। এরপর আপনার দক্ষতা যাচাই বাছাই করে তাঁরা গ্রীনকার্ড করবে কি করবে সেটা নিয়ে আপনার তাদের সাথে অনেক মিটিং ফিটিং করতে হবে। আপনার পোষালে থাকবেন না পোষালে আপনার জন্য গ্রীনকার্ড করবে এমন প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করে সেখানে চলে যাবেন। এতো ঝক্কিঝামেলা সামলাতে বহু বছর লেগে যায়। পাশ করার পর কারও কারও ৩ বছর লাগতে পারে আবার কারও ৮ বছরও লাগতে পারে।

এতসব ভোগান্তির থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে নিজে নিজে গ্রীনকার্ড এর জন্য আবেদন করা। National Interest Waiver (NIW) EB-2 হচ্ছে নিজের গ্রীনকার্ড নিজেই আবেদন করার একটা ক্যাটেগরি। এটাকে বলা হয় – Individual with Advanced Degree/Exceptional Ability. এই ক্যাটেগরিতে আবেদনের নুন্যতম যোগ্যতা হচ্ছে মাস্টার্স পাস। এবং, এই ক্যাটেগরিতে আবেদন করতে আপনার চাকরি থাকা বাধ্যতামুলক না। এই ক্যাটেগরির সবথেকে বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার মাস্টার্স দুনিয়ার যেকোনো দেশ এবং ইউনিভার্সিটি থেকেই হতে পারবে। আপনি যুক্তরাস্ট্রের বাইরে বসেই আবেদন করতে পারবেন এবং হাজার হাজার মানুষ সেটা করেই এখানে গ্রীন কার্ড হাতে নিয়েই আসে। মুলতঃ গবেষনায় আপনার অবদান কেমন, আপনার গবেষনার বিষয়বস্ত যুক্ত্ররাস্রটের National Interest এর সাথে ম্যাচ করে কিনা এসব বিবেচনায় এই ক্যাটেগরিতে গ্রীন কার্ড দেয়া হয়। এখানে আপনার কোনো প্রতিযোগী নাই, এটাতে কোনো নির্দিষ্ট কোটা নাই, এটা সরাসরি রিজেক্ট হলেও আবার আবেদন করা যায়, এটা রিজেক্ট হলেও আপনার বর্তমান ভ্যালিড ভিসার উপর কোনো প্রভাব থাকবে না (ব্যতিক্রম আছে)। গবেষনায় আপনার অবদান কতটা সেটা একটা রচনা আকারে লিখে সব ডকুমেন্ট সহ জমা দিতে হয়। গবেষণায় আপনার অবদান মুলত আপনার জার্নাল এবং কনফারেন্স পেপার এবং গুগল স্কলারে আপনার সাইটেশন সংখ্যা দিয়ে পরিমাপ করা হয়। পাব্লিকেশনের ব্যাতিক্রম হিসেবে প্রজেক্ট এর কাজ কেও তুলে ধরা যেতে পারে তবে পাব্লিশকেশন হচ্ছে বেশ সহজ পরিমাপক। পুরো কাজটাতে এখন ইমিগ্রেশন লইয়ার সাহায্য করেন কিন্তু আপনার কাজ কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটা আপনাকে নিজেকেই লিখতে হবে। এটা করতে সবমিলিয়ে ৬৫০০ – ৮৫০০ মার্কিন ডলার খরচ হয় এবং এই টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করা যায়। পুরো প্রসেস শেষ হতে ১ থেকে ২ বছর লাগে।

কি চমকে গেলেন নাকি! এটার জন্য শ্রম দিতে আজই লেগে পড়ুন। একবার ভাবুন তো যে আপনি দেশে ২ বছর মাস্টার্স করে এটা করে ফেললেন আর আমি ২০১৬ সালে এখানে এসে গতমাসে এটা করেছি। আপনি চাইলেই বাংলাদেশেই মাস্টার্স করে এটা করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, আপনার মাস্টার্স করার উদ্দেশ্য যদি হয় হলে ফ্রি থাকা খাওয়া আর সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নেয়া তাহলে এটায় হয়তো সফল হবেন না। আপনাকে এমন এ্কজন প্রফেসর খুঁজে বের করতে হবে যে ভালো রিসারস করে এবং করায়। আপনার ডেডিকেশন থাকলে আপনি পারবেন। অবশ্যই পারবেন।

*এটার ব্যাপারে আরও জানার থাকলে অনুগ্রহ করে এখানেই মন্তব্য করুন। আপনার প্রশ্ন আর আমার উত্তর হয়তো অনেকের প্রশ্নের উত্তর দিবে। আমাকে মেসেজ দেবার দরকার নাই।

Thank you
Manjur Elahi
Houston, TX

বায়োমেডিক্যাল/বায়োলজিকাল সায়েন্স খুঁটিনাটি

Life science/Medical থেকে উচ্চশিক্ষায় বাইরে আসার পথটা অন্যান্য discipline থেকে একটু আলাদা। কারন গুটিকয়েক University বাদে life science এর বেশিরভাগই University গুলোই centrally admission দিয়ে থাকে। আবার Life science এর অনেক program গুলোতে GRE optional থাকার কারনে অনেকেই বুঝতে পারেনা GRE দেওয়া উচিত কি উচিত না! বা Profile বলতে আমরা কি বুঝি! cGPA, IELTS/TOEFL score or something else! উল্লেখ্য NexTop USA Group এর সাথে আমি add রয়েছি গত ৩ বছর ধরে। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটা post ছাড়া life science থেকে উচ্চশিক্ষার বিষয়ে আমি তেমন কোন post ই দেখলাম না। তাই চিন্তা করলাম একদম ফ্রেশ PhD student হিসেবে এই বিষয়ে আমি কিছু কথা বলব। আমার এই post টি সম্ভবত mediocre student দের জন্যই কারন ছাত্রজীবনে আমিও যথেষ্ট ফাঁকিবাজ ছিলাম। শুরুতেই বলে নিচ্ছি Post টা সামান্য বড় হবে তাই ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার অনুরোধ করছি।




5 thumb rules for life science background:

1) cGPA যার যার উচ্চশিক্ষা সবার
সম্ভবত cGPA নিয়ে racism টা আমি শেষ বাংলাদেশে থাকতেই দেখে এসেছি, কারন এখানে cGPA নিয়ে আমি কাওকেই কখনো মাথা ঘামাতে দেখিনি। আমাদের দেশে life science এ যেমন cGPA 3.75+ sincere student and cGPA less than 3.25 মানেই ফাঁকিবাজ student, আমেরিকায় বিষয়টি এমন নয়। বরং আমেরিকায় cGPA upto 3 কেই তারা Good academic qualification হিসেবে দেখে। আপনার cGPA যদি Admission এর cut off score কে over করতে পারে তাহলেই আপনি admission পাবার যোগ্য। সেক্ষেত্রে আপনার overall cGPA 3.7 নাকি 3.2 এটার তেমন কোন impact ই তেমন এখানে নেই। For example, Undergrad এ আমার cGPA ছিল 3.26. অথচ আমার PhD admission এর এক interview তে আমাকে একজন interviewer বলেছিল You have good academic record! এ বিষয়টার মূল রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছি এই খোদ আমেরিকা তেই এসে। এখানকার Graduate director এর সাথে বেশ কিছুক্ষন কথোপকথন এর পরে বুঝতে পেরেছিলাম admission committee কখনো overall cGPA দেখে কোন কিছু decide করেনা। বরং তারা course by course evaluation করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ আমি বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স এর কথাই বলি। এখানে প্রতি বছর বিভিন্ন discipline এর admission জমা পড়ে। কেউ বায়োটেকনোলজি, কেউ বায়োলজি, কেউ ফার্মাসি আবার কেউ বা মেডিকেল থেকে আসে। তো এক্ষেত্রে শুধুমাত্র overall cGPA দিয়ে admission review করাটা কখনোই সম্ভব হয়ে উঠবেনা। তাই admission committee সকল applicant দের নির্দিষ্ট কিছু course এর basis এ evaluation করে থাকে যেগুলো সাধারণত তাদের professional program এর সাথে align করে। ধরুন আপনার Undergrad এ fisheries/plant based course বেশি ছিল। এখন এসব course এ আপনি যতই top marks পান না কেন admission এ এটার কোন effect পড়বেনা কারন Biomedical science এ plant/fisheries এর কোন কাজই হয়না। আশা করছি সবাই বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।

2) SOP and LOR
Life science এর বেশিরভাগ admission ই হয়ে থাকে central admission এর মাধ্যমে। প্রথমে আপনাকে centrally holistically review করবে এবং তারপর potential candidate মনে হলে আপনাকে interview তে ডাকবে। কিন্তু আমাদের দেশে সাধারণত আমরা interview ছাড়া নিজেদের motivation লেখায় ফুটিয়ে তুলতে পারিনা। অথচ এই বিষয়টিই life science এর জন্য সবচেয়ে বেশি জরুরি। এবং এটির একমাত্র উপায়ই হচ্ছে এই SOP এবং LOR. অন্যান্য subject এর ক্ষেত্রে এই ঝামেলা টা সচরাচর হয়না, কারন তাদের শুরুতেই Professor এর সাথে interview হয়ে যায়, তারপর SOP বা অন্য কিছুর প্রসংগ আসে। কিন্তু বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে centralized admission system এর জন্য আপনাকে আগে আপনার SOP দিয়েই বুঝিয়ে দিতে হবে কেন আপনি এই প্রোগ্রাম এর জন্য best candidate এবং কেন particularly এই University তেই পড়তে চাচ্ছেন। সেই সাথে আপনাকে এমনভাবে LOR গুলো manage করতে হবে যাতে আপনি SOP তে যা যা mention করেছেন তার সব কিছুই valid! একটি ভালো SOP and LOR তৈরির অনেক content ই আপনারা Online এ পেয়ে যাবেন তাই এই নিয়ে আর বিস্তারিত বলছিনা।

3) Masters না PhD?
এ ধরনের question প্রায়ই শোনা যায় আমার profile এখনো এত ভালো না! আমি কি শুরুতে PhD এর জন্য apply করব না Master’s এর জন্য apply করে পরে PhD তে switch করব! উল্লেখ্য, অন্যান্য সব subject এর মতই বায়োলজিকাল সায়েন্স এ Master’s এ তেমন admission পাওয়া যায়না আর পেলেও funding তেমন থাকেনা। এক্ষেত্রে আপনাকে professor approach করা লাগতে পারে funding এর জন্য। কিন্তু life science এ ধরনের University এর সংখ্যা খুবই কম। এমনকি বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স এ Master’s করা যায় এমন কোন University ও আমার চোখে পড়েনি। তাই আমার suggestion হল Master’s এ funding দিবে এমন প্রফেসর খুজে বের করে apply করার চেয়ে ভালো হয় সরাসরি PhD এর জন্য আবেদন করা (যদি না Master’s ই আপনার ultimate target হয়)। পরবর্তীতে আপনি চাইলে PhD complete না করে একটি application করে MS degree নিয়ে বের হয়ে যেতে পারবেন। এক্ষেত্রে আমি বলব আমেরিকায় সব profile এর student দের জন্যই University আছে। একটু খুঁজলে আপনার প্রোফাইল এর সাথে match করে এমন অনেক university সহজেই পেয়ে যাবেন।

4) University selection (Aim high, Fly higher)
সম্ভবত উল্লেখিত step গুলোর এর মাঝে সবচেয়ে important এবং সবচেয়ে কম গুরুত্ব দেওয়া বিষয়টি ই হল University selection! আমরা অনেকেই জানিনা আমাদের 50% admission chance depend করে এই University selection এর উপর। আমি এমন অনেককেই দেখেছি, অনেক ভালো cGPA, Lab experience, Research experience নিয়েও তেমন কোন University তে admission না পেতে আবার অনেককেই দেখেছি mediocre একটা profile নিয়ে কয়েকটা University থেকে admission পেতে। এর প্রধান কারনই হল আমরা আমাদের profile এর সাথে match করে University selection টা করতে পারিনা।
আমি আমার admission এর সময় সর্বমোট ১০ টা University তে apply করি এবং ৫ টা থেকে Interview call পাই। এর মাঝে ৪ টাতে আমার admission হয়েছিল। আমি শুধুমাত্র একটাই higher rank এর University ই select করেছিলাম। এবং অবাক করা বিষয় হল আমি এ University থেকেও interview call পেয়েছিলাম। অথচ আমার list এ আরো কিছু low rank এর University এর যেগুলো থেকে আমাকে interview এর জন্যেও ডাকেনি! পরে অনেক ঘাটাঘাটি করে আমি program to profile match বিষয় টা বুঝতে পারলাম।

profile জিনিষটা বুঝতে হলে আপনাকে আগে বুঝতে হবে University আপনার থেকে কি চাচ্ছে আগে? GRE score/IELTS score or Research experience? আপনি বায়োলজিক্যাল field এর বেশ কিছু প্রোগ্রাম দেখবেন (Biological science, Biomolecular science) যেগুলোতে apply করতে গেলে লেখা থাকবে GRE scores are optional. কিন্তু এক্ষেত্রে optional হলেও কিছু ক্ষেত্রে লেখা থাকবে encouraged to submit score! তখন আপনাকে বুঝতে হবে এই University তে GRE কে সর্বপ্রথম value দিয়ে থাকে। আবার কিছু University তে IELTS/TOEFL এ 6.5/80 cut off থাকলেও speaking এর জন্য তারা একটা particular result চায়। একটু ঘাটলেই বুঝবেন তাদের funding টা মূলত TAship থেকে আসবে। এজন্য আপনাকে বুঝে নিতে হবে তারা আপনার English ভালো চাচ্ছে। কিন্তু Biomedical এর maximum program গুলোতেই RAship থাকে। তাই এখানে English requirement টা এত বেশি তারা follow করেনা। তাই Biomedical এর program গুলোতে আপনি যদি basic English requirement টাই শুধু fulfill করতে পারেন তাহলেও আপনি admission পাওয়ার যোগ্য। আবার Biomedical Science এর মত program গুলোতেও কিন্তু GRE optional. কিন্তু এ ধরনের প্রোগ্রাম গুলোতে নূন্যতম আশা করে আপনার prior research experience type কিছু একটা থাকবে। তো আপনার এই Research experience এ আপনি কি কি টেকনিক শিখলেন বা সেগুলো তাদের প্রোগ্রামের curriculum এর সাথে যাচ্ছে কিনা এটাই মূলত তারা যাচাই করে দেখে। এক্ষেত্রে বায়োমেডিকাল সায়েন্সে GRE/English score এর থেকে Research experience কেই তারা বেশি value দিয়ে থাকে। Research experience বলতে wet/dry lab experience এবং সেই সাথে সম্ভব হলে কিছু publication!

তাই আমার সাজেশন থাকল আপনার যদি Research experience থেকে থাকে এবং কিছু publication থেকেও থাকে তাহলে cGPA, IELTS score or GRE যাই থাকুক না কেন আপনি নিসন্দেহে কিছু Biomedical Science এর Top University তেও apply করে দেখতে পারেন। এবং life science এ University selection এর আরেকটি thumb rule হল বড় প্রোগ্রাম এ apply করা। কারন এসব প্রোগ্রামে funding বেশি থাকে, PI বেশি থাকে এবং তারা প্রতি cohort এ অনেক student এর admission নিয়ে থাকে। তাই অবাক হলেও সত্য যে আপনি US News rank এর 100 এর মাঝে একটা University তে admission পেলেন আবার same profile দিয়েও 300 rank এর University তে admission পেলেন না। So, aim high and fly higher!

5) PI approach or Central admission?
এতক্ষন যারা পড়েছেন তারা হয়তবা বুঝে গিয়েছেন Life science এর majority program ই cetral admission এর মাধ্যমে student নিয়ে থাকে। এবং এ সকল admission এর system ই হল আপনার ৩/৪ টি rotation হবে। Then final PI selection হবে। তাই যারা এখনো Professor emailing এর কথা ভাবছেন তাদের একটু কষ্ট করে খুঁজে বের করতে হবে কোন কোন University গুলো Professor দের approach করার মাধ্যমে admission দিয়ে থাকে। এবং majority ক্ষেত্রেই Lower rank এর University গুলো এভাবে admission নিয়ে থাকে। কিন্তু এসব University তে GRE আবার mandatory থাকে। কিন্তু উল্টোদিকে আপনি যদি কোন centralized admission এর প্রোগ্রামের প্রফেসর দের email করে থাকেন তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোন reply পাবেন না কারন admission এর ক্ষেত্রে উনারা কিছুই করতে পারবেনা। তাই আপনাকে আগে Program এর website ঘেটে দেখতে হবে কাদের email করলে response পেতে পারেন আর কাদের করলে পাবেন না!

আশা করি অনেকের অনেক কিছু clear হয়েছে। বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সে গত ২ মাস এর অভিজ্ঞতা থেকে ছোট খাটো টুকটাক অনেক কিছুই জেনেছি। যেমন, সকল প্রফেশনাল প্রোগ্রাম গুলোর মাঝে বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সের funding সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে (around ~30K/ year).. তাই বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স ও আপনার থেকে ওরকম professional কিছু দাবী করে থাকে। এখানে মোটামুটি সকাল ৯ টা থেকে রাত ৮/৯ টা পর্যন্ত ও মাঝে মাঝে থাকতে হয়। এবং বায়োমেডিক্যাল এর কাজ গুলো পুরোপুরি wet lab হওয়ায় আপনাকে এরকম মানুষিকতা নিয়েই আসতে হবে। তাই আগে থেকে wet lab এ সময় দেওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকলে biomedical এ survive করা আপনার জন্য অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়বে। এবং আপনার যদি animal (Rodent/Worms/other model system) এ allergy থেকে থাকে তাহলেও Biomedical science আপনার জন্য perfect Choice না। কারন এখানে আপনাকে animal handling করতেই হবে সেটি আপনি যেই ল্যাবেই থাকুন না কেন! পরিশেষে সকলকে ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য। আর কেউ যদি পাহাড় আর সবুজ ভালোবাসেন তাহলে তারা আমার বর্তমান University তে স্বাগতম। নতুন দের জন্য শুভকামনা। দোয়া রাখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

P.S: আমি কমেন্টে বায়োলজিক্যাল/বায়োমেডিক্যাল সায়েন্স এর GRE waived University গুলোর একটি updated list দিচ্ছি যেটি আমি গত বছর আমার admission এর সময় use করেছিলাম। এখানে আমেরিকার প্রতিটা state এর life science এর জন্য GRE waived University গুলোর list দেওয়া রয়েছে। ধন্যবাদ।

Rahatul Islam
PhD student
Biomedical Science PhD program
School of Medicine
West Virginia University, WV-26505

যুক্ত্ররাস্ট্রে নাগরিকত্ব – বুস্টার ডোজ!

বিগত ১ দশকে যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যা ব্যাপাকভারে বাড়ছে। পৃথিবীর যেকোনো দেশে পড়তে যাওয়ার জন্য সে দেশে স্থায়ী হবার পদ্ধতি এ...